প্রায়শই জিজ্ঞাসিত
প্রশ্নাবলী

আপনার প্রশ্নের উত্তরটি দ্রুত খুঁজে পেতে একটি বিভাগ বেছে নিন।

একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মধ্যে সরাসরি দাম্পত্য হিংসা আছে কিনা সেটা বোঝা সবসময় সহজ হয় না।

দাম্পত্য হিংসা হল এমন একটি পদ্ধতি যার দ্বারা আপনার সঙ্গী ইচ্ছাকৃতভাবে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং আপনার উপর সেই নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পারে। এটি বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে।

দাম্পত্য হিংসার বিভিন্ন প্রকার সম্পর্কে আরও জানুন

যখন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনার সঙ্গীর সঙ্গে আপনার মতের বিরোধ হয়, তখন দাম্পত্য কলহ ঘটে। দাম্পত্য কলহের সময়:

  • আপনি আপনার সঙ্গীর সমতুল্য।
  • কোনও কৌশলের ব্যবহার করা যায় না – শুধুমাত্র মতবিরোধ নিয়ে আলোচনা করুন।
  • আপনি নির্ভয়ে আপনার নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতে পারেন।
  • আপনার সঙ্গী আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় না।
  • আপনি এবং/অথবা আপনার সঙ্গী ক্ষমা চাইতে পারেন।

দাম্পত্য হিংসা- মূলক পরিস্থিতিতে আপনার সঙ্গী আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য হিংসাত্মক আচরণ করে।

  • আপনার সঙ্গী আপনাকে তার সমতুল্য মনে করে না।
  • আপনি তার প্রতিক্রিয়া নিয়ে ভয় থাকেন।
  • আপনাকে ক্রমাগত নিজের কথা এবং কাজ নিয়ে সচেতন থাকেন।
  • আপনার সঙ্গীর প্রতিহিংসা- মূলক আচরণের ভয়ে, আপনি স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারবেন না।
  • আপনার সকল প্রকার চেষ্টার পরেও, পরিস্থিতি বিস্ফোরক হয়ে ওঠে।
  • আপনাকে নিচু দেখানো হয়, আপনি লজ্জা পান, আপনার আত্মবিশ্বাস এবং আত্মসম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে।
  • আপনার সঙ্গী সবসময় তার আচরণের যথাযথ প্রমাণ করার জন্য অজুহাত খোঁজে।

দাম্পত্য হিংসার পরিণতি অনেক কিছু হতে পারে। এটি আপনার, আপনার সন্তানদের এবং সাধারণভাবে সমাজের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

দাম্পত্য হিংসার পরিণতি সম্পর্কে আরও জানুন

হ্যাঁ। কিইবেকে যদিও দাম্পত্য হিংসার অধিকাংশ (৭৮%) শিকার মহিলারাই হয়। তবে এমন পুরুষও রয়েছেন যারা দাম্পত্য হিংসার শিকার (২২%) হচ্ছে।

  • আপৎকালীন পরিস্থিতিতে আপনাকে প্রথমেই ৯১১ নম্বরে ফোন করতে হবে।

কানাডায়, দাম্পত্য হিংসা বেআইনি: হিংসা-মুক্ত পরিবেশে বসবাস করার অধিকার আপনার আছে। আইনের রক্ষকদের এই অধিকার নিশ্চিত করা হল একটি কর্তব্য। তারা আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করবে না।

  • এছাড়াও আপনি কোনো নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পারেন, যেমন, কোনো বন্ধু বা পরিবারের সদস্যের বাড়ি।

আপনার সন্তানদের এবং, যদি সম্ভব হয়, আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আপনার সঙ্গে নিয়ে আসুন: যেমন জন্ম শংসাপত্র, পাসপোর্ট, সামাজিক নিরাপত্তা কার্ড, ইজারা, বিবাহের শংসাপত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর, ব্যাঙ্ক কার্ড ইত্যাদি।

কিইবেকে এমন বহু পরিষেবা আছে যেগুলি আপনার নিজেকে রক্ষা করতে এবং দাম্পত্য হিংসার ক্ষেত্রে আপনাকে সহায়তা করতে পারে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দ্বিধা বোধ করবেন না।

এই পরিষেবাগুলি বেনামী, বিনামূল্যে এবং যে-কোনও সময় উপলব্ধ।

একজন আগ্রাসী স্বভাবের সঙ্গীকে ত্যাগ করা সহজ নয় এবং এর জন্য অনেক সাহসের প্রয়োজন। Maison Secours aux Femmes-এর নির্যাতিতদের আইনজীবিরা আপনাকে নিজেকে রক্ষা করতে এবং এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে পারেন।

আগ্রাসী সঙ্গীর থেকে বিচ্ছেদ সম্পর্কে আরও জানুন

হ্যাঁ, দাম্পত্য হিংসা, যৌন হিংসা এবং/অথবা আপনার সন্তানদের বিরুদ্ধে হওয়া নির্যাতনের কারণে আপনার বা আপনার সন্তানদের নিরাপত্তা ক্ষুন্ন হলে, আপনি আপনার ইজারা বাতিল করার জন্য আবেদন করতে পারেন।

ইজারা বাতিল করার সম্বন্ধে আরও জানুন

আপনার কাছাকাছি শীঘ্রই মহিলাদের আশ্রয় স্থল পেতে ১- ৮০০- ৩৬৩- ৯০১০ নম্বরে SOS ভায়োলেন্স কনজুগেলের নির্যাতিতদের আইনজীবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

সুরক্ষা আদেশের উদ্দেশ্য হল আপনার সঙ্গী বা প্রাক্তন সঙ্গীকে আপনার কোনোরকম ক্ষতি করা, আপনাকে হয়রান করা এবং/অথবা হুমকি দেওয়া বন্ধ করার জন্য আদেশ দেওয়া। এক্ষেত্রে আপনার সঙ্গীকে যা যা করতে হবে :

  • আপনার বাড়ি, বিদ্যালয় বা কর্মক্ষেত্র থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • আপনারা যে বাড়িতে একসঙ্গে থাকেন, সেই স্থানটি ছেড়ে দিতে হবে।
  • দাম্পত্য হিংসার থেরাপি, সন্তানের প্রতিপালন বা ডিটক্স প্রোগ্রামে যোগ দিতে হবে।
  • অস্থায়ী অভিভাবকত্ব, সন্তানদের দেখার অধিকার এবং সহায়তার ব্যবস্থা করতে হবে।

আরও জানতে, আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে দ্বিধা বোধ করবেন না।

আপনি আপনার কম্পিউটারে কী করেন তা আপনার সঙ্গী দেখতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সে আপনার ই-মেইলের ইনবক্সে ঢুকতে পারে বা আপনি যে ওয়েবসাইটগুলি দেখেছেন তার হিস্ট্রি দেখতে পারে।

এটি যাতে না ঘটে তার জন্য, আমরা আপনাকে একটি “নিরাপদ” কম্পিউটার ব্যবহার করার পরামর্শ দিই যা আপনার সঙ্গী ব্যবহার করতে পারবে না (যেমন জনসাধারণের গ্রন্থাগারের কম্পিউটার, একটি কমিউনিটি সেন্টার, বন্ধু বা পরিবারের সদস্যের বাড়ির কম্পিউটার) এবং আপনি যে ওয়েবসাইটগুলি দেখেছেন, সেগুলির চিহ্ন ডিলিট করুন

Maison Secours aux Femmes হল মন্ট্রিয়াল-ভিত্তিক একটি আশ্রয়স্থল যেখানে দাম্পত্য হিংসার শিকার হওয়া মহিলা এবং তাদের সন্তানরা অস্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারেন।

আমাদের নির্যাতিতদের আইনজীবীরা এই সকল মহিলাদের দাম্পত্য হিংসার চক্রটি ভেঙ্গে বেরিয়ে আসতে এবং নিজেদের জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে সাহায্য করেন। তারা এই সকল মহিলাদের কথা শোনেন এবং তাদেরকে তথ্য, সহায়তা এবং তাদের পথপ্রদর্শন করেন যেহেতু তারা বিভিন্ন প্রশাসনিক ও আইনি প্রক্রিয়ার সঙ্গে মোকাবিলা করেন।

হ্যাঁ, Maison Secours aux Femmes-এর আইনজীবীরা সপ্তাহে ৭ দিন, দিনে ২৪ ঘণ্টা উপলব্ধ রয়েছেন।

হ্যাঁ, জাতি, বয়স এবং সামাজিক মর্যাদা নির্বিশেষে প্রতিটি নারীকে যারা গৃহ হিংসার শিকার হন, তাদেরকে আমরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আমাদের সহায়তা এবং আশ্রয় পরিষেবা দিয়ে থাকি।

হ্যাঁ, Maison Secours aux Femmes দাম্পত্য হিংসার শিকার হওয়া নারীদের শিশুদেরও আশ্রয় দিতে পারে। একজন মা-শিশু এবং কিশোর আইনজীবি এবং একজন শিক্ষাবিদ সাহায্য করার জন্য এখানে রয়েছেন।

হ্যাঁ, আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রের আইনজীবীরা প্রাক্তন আবাসিক এবং অনাবাসিকদেরও সহায়তা করেন: মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনা, ফোনে পরামর্শ প্রদান, আশ্রয়ের পরবর্তী প্রক্রিয়া, বিশদে তাদের ব্যাখ্যা করার মতো পরিষেবা ইত্যাদি তারা দিয়ে থাকেন।

আমাদের পরিষেবাগুলি সম্পর্কে আরও জানুন

দাম্পত্য হিংসা মূলক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে, আপনি অনেক রকমের বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। যে সকল নারীরা দাম্পত্য হিংসার শিকার, তাদের সকলকেই কিছু সাধারণ বাধার সম্মুখীন হতে হয়।

  • আপনার দাম্পত্য হিংসার অভিজ্ঞতার সম্বন্ধে কথা বলতে এবং সাহায্য পেতে সমস্যা হয়
  • একেবারেই অজানা কিছুর প্রতি লজ্জা, অপরাধবোধ, ভয়
  • বিচ্ছেদের পরিণতির সম্মুখীন হওয়ার ভয়
  • আপনার সঙ্গীর প্রতিশোধের ভয় এবং/অথবা আপনার সন্তানদের হারানোর ভয়
  • শারীরিক, মানসিক এবং/অথবা নৈতিক অবসাদ
  • পেশাদারি জীবনের মর্যাদাহানি
  • দারিদ্র্যতা এবং আপনার সঙ্গীর উপর অর্থনৈতিক ভাবে নির্ভরতা বৃদ্ধি
  • আপনার সামাজিক সম্পর্কগুলির ভাঙন, বিচ্ছিন্নতা
  • আপনার অধিকার এবং আপনাকে সাহায্য করার জন্য উপলব্ধ সংস্থান সম্পর্কে সচেতনতার অভাব
  • অভিযোগ দায়ের করলে আপনার সঙ্গীর প্রতিশোধের ভয়
  • সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রতি অবিশ্বাস
  • আপনার সঙ্গীর উপর এর কী প্রভাব পড়বে, সেই নিয়ে ভয়
  • অন্যরা বুঝতে পারবে না এবং আপনাকে বিচার করবে, সেই নিয়ে ভয়

আপনার ব্যক্তিগত বা সাংস্কৃতিক পরিস্থিতির সাপেক্ষে অন্যান্য আরও কিছু নির্দিষ্ট বাধা:

  • কিউবেকে ব্যবহৃত কথ্যভাষার সম্বন্ধে জ্ঞানের অভাব
  • নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার ভয়
  • সামাজিক নিষিদ্ধকরণ, সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় বাধা
  • পরিবারের চিরাচরিত ধারণা
  • আপনার মূল সম্প্রদায়ের দ্বারা প্রত্যাখ্যানের ভয়

Maison Secours aux Femmes-এর নির্যাতিতদের আইনজীবিরা এই সবরকমের বাধার মোকাবিলা করতে আপনাকে সাহায্য করতে পারেন। নির্দ্বিধায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

আপনার যদি ইংরেজি কিংবা ফরাসি ভাষায় সমস্যা হয়, আপনি আদালতের শুনানি অনুবাদ করার জন্য একজন আইনি অনুবাদকের সাহায্যও চাইতে পারেন।

দাম্পত্য হিংসার শিকার হওয়া অধিকাংশ মহিলাদের মতই অভিবাসী মহিলা বা জাতিগত সংস্কৃতি সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রয়োজনীয়তা একই: তাদের সুরক্ষা, বাসস্থান এবং তথ্য। যদিও তাদের পরিস্থিতি কখনও কখনও আরও ঝুঁকিপূর্ণ এবং তাদের বিশেষ মনোযোগ এবং সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে, যেগুলি হল:

  • খোলা মনে এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে তাদের স্বাগত জানানো।
  • তাদের নিরাপদ বোধ করানো এবং আত্মসম্মান পুনর্নির্মাণ করা।
  • তাদের সম্মান করা, তাদের কথা শোনা, তাদের বুঝতে পারা এবং আশ্বস্ত করা।
  • তাদের অধিকারগুলি সম্বন্ধে জানানো, বিশেষ করে অভিবাসন সংক্রান্ত অধিকারগুলি।
  • বস্তুগত এবং মানসিক সমর্থন পেতে সাহায্য করা।

আপনি যদি দাম্পত্য হিংসার শিকার হন এবং আপনার অভিবাসনের অবস্থান বৈধ হয়, তাহলে অভিবাসন অবস্থানে কোনোরকম ক্ষতি না করেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।

পৃষ্ঠপোষিত মহিলারা

আপনি যদি আপনার সঙ্গীর দ্বারা পৃষ্ঠপোষিত হন, তাহলে আপনি আপনার অবস্থান হারানোর ভয় না করেই আপনার সঙ্গীর থেকে আলাদা হয়ে যেতে পারেন, আপনার পৃষ্ঠপোষকতার আবেদন গৃহীত হয়েছে।

  • আপনার সঙ্গীর সঙ্গে আপনাকে একই বাসস্থানে থাকতে হবে না।
  • আপনার সঙ্গীকে ছেড়ে যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রমাণ করতে হবে না যে আপনি দাম্পত্য হিংসার শিকার হয়েছেন।
  • আপনি যদি আপনার সঙ্গীকে ছেড়ে বেরিয়ে যান, তাহলে আপনি আপনার স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার অবস্থান হারাবেন না।
  • আপনি যদি আপনার সঙ্গীকে ছেড়ে বেরিয়ে আসেন, তবে আপনার ভরনপোষণের দায়িত্ব আপনার নিজেকে বহন করতে হবে না। আপনার সঙ্গী বা প্রাক্তন সঙ্গী যার দ্বারা আপনি পৃষ্ঠপোষিত, তাকেই ৩ বছরের কার্যক্রম সময়সীমা অবধি মধ্যে এই দায়িত্ব বহন করতেই হবে।

অস্থায়ী বাসিন্দা

আপনি যদি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে থাকেন যে কানাডায় একজন অস্থায়ী কর্মী বা ছাত্র, তবে একটি নির্দিষ্ট সময়কাল অবধি আপনার অস্থায়ী বাসিন্দার অবস্থানটি বৈধ থাকবে।

আপনি যদি এই সময়কালের মধ্যে আপনার সঙ্গীকে ছেড়ে বেরিয়ে আসেন, তবে আপনি আপনার সামাজিক অবস্থানটি পুনর্নবীকরণ করতে পারবেন না। অতঃপর আপনি কানাডায় থাকার অধিকার হারাতেও পারেন।

আপনি অন্য কয়েকটি উপায়ে আপনার সামাজিক অবস্থানটি বৈধ করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ড পূরণ করতে পারেন, তবে আপনি কমপক্ষে ৬ মাসের জন্য একটি অস্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন করতে পারেন।

বিবাহ বিচ্ছেদ

আপনার বিয়ে যদি বিদেশে হয়ে থাকে, তা হলেও আপনি কিইবেকে বিবাহ বিচ্ছেদ পেতে পারেন।

আপনার অভিবাসী অবস্থানের যে প্রক্রিয়া আছে সেই সম্বন্ধে আরও তথ্য এবং সহায়তা পেতে আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে দ্বিধা বোধ করবেন না।

আপনার যদি মনে হয় যে আপনার কোনো বন্ধু বা পরিবারের সদস্য দাম্পত্য হিংসার শিকার হচ্ছে, সেক্ষেত্রে আপনি যা করতে পারেন:

  • তাকে দোষারোপ না করে এবং সে যে আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে, সে সম্পর্কে কথা বলা তার পক্ষে কঠিন হতে পারে, এটি মাথায় রেখে বুঝে- শুনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন
  • তাকে তার সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলতে এবং তার আবেগ ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ দিন।
  • ধীরে ধীরে উৎপীরনের ধারণাটি তুলে ধরে সে দাম্পত্য হিংসার শিকার কিনা তা নির্ধারণ করুন।
  • সে কীভাবে আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে, সেই সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করুন।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল আপনাদের দু’জনের মধ্যে বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

দাম্পত্যের শিকার আপনার পরিচিত মহিলাদের সাহায্য করার কিছু উপায় হল:

  • তার কথা শুনুন এবং তাকে সমর্থন করুন। নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা থেকে তাকে বিরত রাখুন।
  • বিচারমূলক না হয়ে তাকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া থেকে আটকান।
  • তাকে কী করতে হবে না বলে তাকে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে দিন।
  • তার ব্যক্তিগত সীমানা, চাহিদা এবং তার নিজস্ব গতিপ্রকৃতিকে সম্মান করে তার পাশে থাকুন।
  • তাকে মনে করান যে আগ্রাসনকে কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না, সে এই আগ্রাসানের শিকার হওয়ার যোগ্য নয় এবং একমাত্র তার সঙ্গী নিজের কৃত কর্মের জন্য দায়ী।
  • তার সঙ্গীর ব্যাপারে নেতিবাচক কিছু বলবেন না। পরিবর্তে, তার সঙ্গীর আগ্রাসী আচরণের নিন্দা করুন।
  • তাকে স্থানীয় সংস্থান সম্পর্কে তথ্য দিন এবং সাহায্য চাইতে উৎসাহিত করুন।
  • যদি তিনি ফৌজদারি অপরাধের শিকার হন, তাহলে তাকে অভিযোগ দায়ের করতে বলুন।

যদি আপনি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে থাকেন, দ্বিধাহীনভাবে ৯১১
নম্বরে পুলিশে অথবা ৫১৪-৮৭৩-৯০১০ কিংবা ১-৮০০-৩৬৩-৯০১০ এই নম্বরে SOS ভায়োলেন্স কংজুগল-এ ফোন করুন।
এই পরিষেবা সবসময় চালু আছে।