দাম্পত্য হিংসার সম্মুখীন শিশু

দাম্পত্য হিংসার প্রত্যক্ষ শিকার না হলেও শিশুরা অনেক সময়েই এর সাক্ষী হয়। ক্রমাগত হিংসাত্মক পরিবেশ তাদের শরীর এবং/অথবা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর অনেক রকমের প্রভাব ফেলে।

মানসিক ক্ষতি

দাম্পত্য হিংসার সম্মুখীন শিশুদের মানসিক ভারসাম্য দুর্বল হয়ে যায়। ভয়, মানসিক যন্ত্রণা, অসহায় বোধ, নিরাপত্তাহীনতা, লজ্জা, অপরাধবোধ, সংশয়, অবিশ্বাস এগুলো তাদের মধ্যে দেখা যায়। যে-সব শিশুরা হিংসাত্মক ঘটনা নিজে চোখে দেখেছে, অনেক ক্ষেত্রেই তাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা এবং অবসাদের লক্ষণ দেখা যায়।

এই চাপের পরিস্থিতি দেখতে দেখতে শিশুরা আচরণ পালটে যায়। তাদের মধ্যে রাগ কাজ করে, পারিবারিক পরিবেশ এড়িয়ে চলে, আমোদপ্রমোদে অংশ নেয় না। কিছু আচরণ সদর্থক হলেও অন্যগুলো অল্প কিংবা দীর্ঘ সময়ের জন্য অনেক ক্ষতিকারক হতে পারে। মানসিক সমস্যা অথবা আত্মবিশ্বাসহীনতা এবং হীন মনোবল নিয়ে তারা বেড়ে ওঠে।

শারীরিক সমস্যা

দাম্পত্য হিংসার দীর্ঘস্থায়ী জের থেকে ভয় এবং উত্তেজনার যে বাতাবরণ তৈরি হয় তা শিশুদের অনেক রকমের শারীরিক সমস্যা ডেকে আনে। যেমন, বিলম্বিত বৃদ্ধি, ওজন হ্রাস অথবা বৃদ্ধি, ঘুমের সমস্যা, দুঃস্বপ্ন, মস্তিষ্কে সমস্যা, পড়াশোনায় বাধা ইত্যাদি।

সামাজিক সম্পর্কের পরিবর্তন

দাম্পত্য হিংসা শিশুদের সামাজিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলে। তাদের আচরণ এর ফলে পালটে যায়। অনেক সময় দেখা যায় তারা একা একা থাকছে, বিচ্ছিন্ন কিংবা প্রান্তিক হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের মধ্যেও হিংসাত্মক ব্যবহার বৃদ্ধি পায়।

শারীরিক আঘাত

দাম্পত্য হিংসায় কোনও কোনও সময় শিশুরা সরাসরি এর শিকার হয়। এটা বিভিন্নভাবে হতে পারে (মানসিক, শারীরিক, যৌন ইত্যাদি) এবং এর পরিণতি গুরুতর ট্রমা।

যদি আপনি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে থাকেন, দ্বিধাহীনভাবে ৯১১ নম্বরে পুলিশে অথবা ৫১৪-৮৭৩-৯০১০ কিংবা ১-৮০০-৩৬৩-৯০১০ এই নম্বরে SOS ভায়োলেন্স কংজুগল-এ ফোন করুন।
এই পরিষেবা সবসময় চালু আছে।