বিচ্ছেদের পরের দাম্পত্য হিংসা
দাম্পত্য হিংসায় আক্রান্ত একজন মহিলার কাছে বিচ্ছেদ খুবই জটিল সময়। তাঁর প্রাক্তন সঙ্গী মেনে নিতে পারে না সে চলে গেছে এবং তাঁর ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে যেকোনো কিছু করতে পারে। হিংস্রতা বিচ্ছেদের পরেও চলতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে তা আরও খারাপ হয়।
নজরদারি এবং হয়রানি
লোকটা বারবার ফোন বা টেক্সট করে, তাঁর প্রাক্তনের বাড়ি বা কাজের জায়গায় তাকে অনুসরণ করে নজরদারি চালায়, বিনা অনুমতিতে তাঁর বাড়ি যায় এবং যোগাযোগ না রাখার আদেশ মানতে ব্যর্থ হয়।
হুমকি এবং ভয় দেখানো
লোকটি তার প্রাক্তন এবং সন্তানদের মারার হুমকি দেয় এবং তাঁকে বলে যে সে তাঁর সন্তানদের অভিভাবকত্ব এবং বসবাসের অধিকার হারাবে
তিনি তাঁর প্রাক্তন সঙ্গীর অভিভাবকত্বের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন, অভিভাবকত্বের অধিকার এবং সন্তানদের প্রতিপালনের বিষয়ে অসহযোগিতা করতে পারেন, মিথ্যা দোষারোপ করতে পারেন, এমনকি স্বামী-স্ত্রীর সুবিধা বা যৌথ খরচ দিতে অস্বীকার করতে পারেন।
উত্যক্ত করা
লোকটা মাঝে মাঝেই বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে তাঁর প্রাক্তনকে উত্যক্ত করে তাঁর কাছে ফিরে আসার জন্য বোঝাতে থাকে। তিনি তাঁর প্রাক্তনের বিরুদ্ধে যাওয়ার জন্য তাঁদের সন্তান, বিদ্যালয়ের কর্মী বা আইনি পেশাদারকে কাজে লাগাতে পারেন।
বিচ্ছেদের পরে গুরুতর আঘাত বা হত্যার ঘটনা একেবারেই তাৎপর্যহীন নয়। আপনি যদি আপনার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত থাকেন তাহলে পুলিশ বা SOS ভায়োলেন্স কনজুগালে ফোন করতে সংকোচ করবেন না।
আপনি আপনার সঙ্গীকে আপনার থেকে দূরে থাকার জন্য আদালত থেকে একটা নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানাতে পারেন।